sikhenin
আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। প্রতিটা টিউনে লাইক এবং আপনার মন্তব্য দেয়ার চেষ্টা করবেন।
Post Creator Info
*
Online
's Bio

This author may not interusted to share anything with others
Home » ইংরেজি সহজ শিক্ষা, রোজা » রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা ( হাদিস -১)
রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা ( হাদিস -১)

আস্সালামু আলাইকুম…কেমন আছেন সবাই সামনে রোজা আর প্রতেক মুসলমানে উচিত রোজা রাখা…..আর তাই আজ নিয়ে আসলাম ইমাম মালেক (রাঃ) এর মুয়াত্তায়ে মালেক হাদিস সরিফের রোজা অংশ নিয়ে….আর রোজা র অদ্ধয় শুরু 617 নং থেকে….। এবং হাদিসের মান ও দেখে নিতে পারবেন…. তো চলুন শুরু করি.. ৬১৭ حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوْا لَهُ. আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রোযার উল্লেখ করে বলেছেন, তোমরা চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা রেখো না। আর চাঁদ না দেখে রোযা খুলো না। যদি তোমাদের উপর (আকাশ) মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে রোযা খোলার জন্য অন্য দিন হিসাব করো নিও। (বুখারী ১৭০৬, মুসলিম ১০৮০) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস সরাসরি ৬১৮ و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ فَلَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ. আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মাস উনত্রিশ দিনেরও হয়, যদি (আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে) তোমাদের উপর চাঁদ পর্দাবৃত করা হয়, তবে তার জন্য দিন গণনা করো। (বুখারী ১৯০৭, মুসলিম ১০৮০) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস সরাসরি ৬১৯ و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدِّيلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِيْنَ. আবদুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমযানের উল্লেখ করলেন। (এই প্রসঙ্গে) তিনি বললেন, তোমরা চাঁদ না দেখে রোযা রেখো না।

এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা খুলো না। আর যদি আকাশ তোমাদের উপর মেঘাচ্ছাদিত হয়, তবে সংখ্যা ত্রিশ পূর্ণ করো। (সহীহ, আবূ দাঊদ ২৩২৭, তিরমিযী ৬৮৮, নাসাঈ ২১২৪, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [সহীহ আল-জামে’ ১৭৯০] তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের সনদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে) হাদিসের মানঃ অন্যান্য সরাসরি ৬২০ و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْهِلَالَ رُئِيَ فِي زَمَانِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ بِعَشِيٍّ فَلَمْ يُفْطِرْ عُثْمَانُ حَتَّى أَمْسَى وَغَابَتْ الشَّمْسُ قَالَ يَحْيَى سَمِعْت قَوْله تَعَالَى يَقُولُ فِي الَّذِي يَرَى هِلَالَ رَمَضَانَ وَحْدَهُ أَنَّهُ يَصُومُ لَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُفْطِرَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ ذَلِكَ الْيَوْمَ مِنْ رَمَضَانَ قَالَ وَمَنْ رَأَى هِلَالَ شَوَّالٍ وَحْدَهُ فَإِنَّهُ لَا يُفْطِرُ لِأَنَّ النَّاسَ يَتَّهِمُونَ عَلَى أَنْ يُفْطِرَ مِنْهُمْ مَنْ لَيْسَ مَأْمُونًا وَيَقُولُ أُولَئِكَ إِذَا ظَهَرَ عَلَيْهِمْ قَدْ رَأَيْنَا الْهِلَالَ وَمَنْ رَأَى هِلَالَ شَوَّالٍ نَهَارًا فَلَا يُفْطِرْ وَيُتِمُّ صِيَامَ يَوْمِهِ ذَلِكَ فَإِنَّمَا هُوَ هِلَالُ اللَّيْلَةِ الَّتِي تَأْتِي ১قَالَ يَحْيَى و سَمِعْت قَوْله تَعَالَى يَقُولُ إِذَا صَامَ النَّاسُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَهُمْ يَظُنُّونَ أَنَّهُ مِنْ رَمَضَانَ فَجَاءَهُمْ ثَبْتٌ أَنَّ هِلَالَ رَمَضَانَ قَدْ رُئِيَ قَبْلَ أَنْ يَصُومُوا بِيَوْمٍ وَأَنَّ يَوْمَهُمْ ذَلِكَ أَحَدٌ وَثَلَاثُونَ فَإِنَّهُمْ يُفْطِرُونَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ أَيَّةَ سَاعَةٍ جَاءَهُمْ الْخَبَرُ غَيْرَ أَنَّهُمْ لَا يُصَلُّونَ صَلَاةَ الْعِيدِ إِنْ كَانَ ذَلِكَ جَاءَهُمْ بَعْدَ زَوَالِ الشَّمْسِ মালিক (রা) থেকে বর্ণিতঃ তাঁর কাছে খবর পৌঁছেছে যে, উসমান ইবনু আফফান (রা)-এর আমলে বিকালে চাঁদ দৃষ্ট হয়। কিন্তু উসমান (রা) সন্ধ্যা হওয়া ও সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত ইফতার করেননি। ইয়াহ্ইয়া (র) বলেন, আমি মালিক (র)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি রমযানের চাঁদ একাই দেখেছে সে নিজে রোযা রাখবে, তার জন্য রোযা ভঙ্গ করা সমীচীন নয় । কারণ সে জানে যে, উহা রমযান মাস। আর যে শাওয়ালের চাঁদ একা দেখেছে. সে রোযা ভঙ্গ করবে না, কারণ লোকে (এ বলে) অ পবাদ দিবে যে, আমাদের একজন রোযা রাখেনি। পক্ষান্তরে যারা নির্ভরযোগ্য নয় তেমন ব্যক্তিদের খেয়াল হলে তবে তারা বলবে, ‘আমরা অবশ্য চাঁদ দেখেছি’। আর যে ব্যক্তি দিনে শাওয়ালের চাঁদ দেখতে পায়, সে রোযা ইফতার করবে না বরং সে দিনের রোযা পূর্ণ করবে, কারণ তা আগামী রাতের চাঁদ। ইয়াহইয়া (র) বলেন, আমি মালিক (র)-কে বলতে শুনেছি, যদি লোকে ঈদের দিন রোযা রাখে এবং তারা উহাকে রোযার দিন বলে মনে করে, তৎপর একজন বিশ্বস্ত লোক এসে তাদেরকে বলে, রমযানের চাঁদ তাদের রোযার একদিন পূর্বে দেখা গিয়েছে, আর তাদের এ দিবস হচ্ছে একত্রিশের, তবে যে মুহূর্তে তাদের কাছে খবর পৌঁছে সে মুহূর্তেই তারা রোযা ভেঙে ফেলবে। অবশ্য তারা সে খবর সূর্য হেলিবার পর হলে সে দিন তারা ঈদের নামায আদায় করবে না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন) হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয় সরাসরি পরিচ্ছেদঃ ২ ফজরের পূর্বে যে রোযার নিয়ত করেছে ৬২১ حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَا يَصُومُ إِلَّا مَنْ أَجْمَعَ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ ৫و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ زَوْجَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ ذَلِكَ. নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) বলতেন, যে ফজরের পূর্বে নিয়ত করেনি, সে রোযা রাখবে না। (সহীহ, আবূ দাঊদ ২৪৫৪, তিরমিযী ৭৩০, নাসাঈ ২৩৪১, ইবনু মাজাহ ১৭০, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [সহীহ আল-জামে’ ৬৫৩৮]) ইবনু শিহাব (র) কর্তৃক নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিনী আয়েশা (রা) ও হাফসা (রা) হতে অনুরূপ (মত) বর্ণনা করা হয়েছে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন) হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয় সরাসরি পরিচ্ছেদঃ ৩ বিলম্ব না করে ইফতার করা ৬২২ حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ. সাহল ইবনু সা’দ সাঈদী (রা) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, সর্বদা লোক মঙ্গলের উপর থাকবে যতদিন ইফতার সত্বর করবে। (বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস সরাসরি ৬২৩ و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ الْأَسْلَمِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ. সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মানুষ সর্বদা মঙ্গলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে যতদিন ইফতার সত্বর করবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন) হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয় সরাসরি ৬২৪ و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَعُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَا يُصَلِّيَانِ الْمَغْرِبَ حِينَ يَنْظُرَانِ إِلَى اللَّيْلِ الْأَسْوَدِ قَبْلَ أَنْ يُفْطِرَا ثُمَّ يُفْطِرَانِ بَعْدَ الصَّلَاةِ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ. হুমায়দ ইবনু আবদুর রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ উমার ইবনু খাত্তাব (রা) এবং উসমান ইবনু আফফান (রা) দু’জনে মাগরিবের নামায আদায় করতেন, এমন সময় তখন তাঁরা রাত্রির অন্ধকার দেখতে পেতেন। (আর এটা হত) ইফতার করার পূর্বে। অতঃপর তাঁরা (দু’জনে) ইফতার করতেন। আর এটা হতো রমযান মাসে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন) হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয় সরাসরি পরিচ্ছেদঃ ৪ যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সে ব্যক্তির রোযা ৬২৫ حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِي يُونُسَ مَوْلَى عَائِشَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى الْبَابِ وَأَنَا أَسْمَعُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أُصْبِحُ جُنُبًا وَأَنَا أُرِيدُ الصِّيَامَ فَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أُصْبِحُ جُنُبًا وَأَنَا أُرِيدُ الصِّيَامَ فَأَغْتَسِلُ وَأَصُومُ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّكَ لَسْتَ مِثْلَنَا قَدْ غَفَرَ اللهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ وَاللهِ إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَعْلَمَكُمْ بِمَا أَتَّقِي. আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিতঃ এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, তখন তিনি দরজায় দণ্ডায়মান ছিলেন, আর আমি শুনতেছিলাম, ইয়া রসূলুল্লাহ্! জানাবত অবস্থায় আমার ফজর হয় অথচ আমি রোযা রাখতে ইচ্ছা করি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমারও জানাবত অবস্থায় ফজর হয়, অথচ আমি রোযা রাখবার ইচ্ছা করি। তাই আমি গোসল করি এবং রোযা রাখি! তখন লোকটি তাঁর নিকট আরয করল, ইয়া রসূলাল্লাহ্! আপনি অবশ্য আমাদের মত নন। আল্লাহ্ আপনার অতীত ও ভবিষ্যত ত্রুটিসমূহ মার্জনা করেছেন। এতে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাগান্বিত হলেন এবং বললেন, আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের তুলনায় আল্লাহকে অধিক ভয় করি আর আমি তাক্ওয়ার বিষয়ে তোমাদের অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত। (সহীহ, মুসলিম ১১১০) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস সরাসরি ৬২৬ و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا قَالَتَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ يَصُومُ. নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিনী আয়েশা ও উম্মে সালমা (রা) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্বপ্নদোষে নয় স্ত্রী সহবাসের কারণে রমযানে জানাবত অবস্থায় ফজর হত, অতঃপর তিনি রোযা রাখতেন। (বুখারী ১৯২৬, ১৯৩০, মুসলিম ১১০৯) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস সরাসরি ৬২৭ و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ يَقُولُ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ فَقَالَ مَرْوَانُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ لَتَذْهَبَنَّ إِلَى أُمَّيْ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ فَلْتَسْأَلَنَّهُمَا عَنْ ذَلِكَ فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَذَهَبْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ فَسَلَّمَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّا كُنَّا عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ قَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَتَرْغَبُ عَمَّا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لَا وَاللهِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يَصُومُ ذَلِكَ الْيَوْمَ قَالَ ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ مِثْلَ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ فَخَرَجْنَا حَتَّى جِئْنَا مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَا قَالَتَا فَقَالَ مَرْوَانُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ لَتَرْكَبَنَّ دَابَّتِي فَإِنَّهَا بِالْبَابِ فَلْتَذْهَبَنَّ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَإِنَّهُ بِأَرْضِهِ بِالْعَقِيقِ فَلْتُخْبِرَنَّهُ ذَلِكَ فَرَكِبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَرَكِبْتُ مَعَهُ حَتَّى أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ فَتَحَدَّثَ مَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ سَاعَةً ثُمَّ ذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ لَا عِلْمَ لِي بِذَاكَ إِنَّمَا أَخْبَرَنِيهِ مُخْبِرٌ. আবূ বক্‌র ইবনু আবদুর রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ আমি ও আমার পিতা মারওয়ানের নিকট ছিলাম, মারওয়ান তখন মদীনার শাসনকর্তা। তাঁর কাছে উল্লেখ করা হয় যে, আবূ হুরায়রা (রা) বলেন, যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হয়, তার সেই দিনের রোযা নষ্ট হয়েছে। মারওয়ান বললেন, হে আবদুর রহমান। আমি তোমাদের কসম দিচ্ছি যে, তুমি অবশ্যই উম্মুল মুমিনীনদ্বয় আয়েশা (রা) ও উম্মে সালমা (রা)-এর কাছে গমন কর এবং এ বিষয়ে উভয়কে প্রশ্ন কর। অতঃপর আবদুর রহমান গেলেন, আমিও সাথে ছিলাম। আবদুর রহমান তাঁকে ‘সালাম’ জানালেন এবং বললেন, হে উম্মুল মুমিনীন! আমরা মারওয়ান ইবনু হাকামের কাছে ছিলাম, তাঁর নিকট আলোচিত হয় যে, আবূ হুরায়রা (রা) বলেছেন যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হয়েছে সে সেই দিনের রোযা ভঙ্গ করেছে। আয়েশা (রা) বললেন, আবূ হুরায়রা যেমন বলেছেন, (মাস’আলা) তেমন নয়। হে আবদুর রহমান! রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা করেছেন তুমি কি তা হতে বিমুখ হতে চাও ? আবদুর রহমান বললেন, না, আল্লাহ্‌র কসম, (তা হয় না)। আয়েশা (রা) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি স্বপ্নদোষে নয়, সহবাসের কারণে জানাবত অবস্থায় ফজর করতেন। অতঃপর সেই দিনের রোযা রাখতেন। (রাবী) বলেন, তারপর আমরা আয়েশা (রা)-এর নিকট হতে বের হলাম এবং উম্মে সালমা (রা)-এর কাছে গেলাম এবং এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলাম। আয়েশা (রা) যেমন বলেছেন তিনিও তেমন বললেন। অতঃপর আমরা প্রস্থান করলাম এবং মারওয়ান ইবনু হাকামের কাছে উপস্থিত হলাম। তাঁরা দু’জনে যা বর্ণনা করেছেন আবদুর রহমান মারওয়ানের কাছে তা উল্লেখ করলেন। অতঃপর মারওয়ান বললেন, আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি, হে আবূ মুহাম্মদ, আমার সওয়ারী দরজায় (উপস্থিত) রয়েছে, তুমি উহার উপর সওয়ার হয়ে অবশ্যই আবূ হুরায়রা (রা)-এর নিকট গমন কর। তিনি তাঁর (নিজস্ব) ভূমিতে আকীক নামক স্থানে অবস্থান করতেছেন। নিশ্চয়ই এ খবরটি তাঁকে পৌঁছিয়ে দাও। আবদুর রহমান সওয়ার হলেন, আমি তাঁর সাথে আরোহণ করলাম। অতঃপর আমরা আবূ হুরায়রা (রা)-এর কাছে এলাম। আবূ হুরায়রা (রা)-এর সহিত আবদুর রহমান কিছুক্ষণ কথা বললেন। তারপর এই বিষয়ে তাঁর সাথে আলোচনা করলেন। এরপর আবূ হুরায়রা (রা) বললেন, এই বিষয়ে আমার জানা নাই, আমাকে খবরদাতা খবর দিয়েছেন। [১] (সহীহ, মুসলিম ১১০৯) [১] হয়তো আবূ হুরায়রা (রা)-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, ফজরের পূর্বে গোসল করে নেয়া উত্তম অথবা তাঁর উদ্দেশ্য, সহবাস অবস্থায় ফজর হলে তারা রোযা রাখবে না, অথবা এই মত প্রথমে ছিল পরে তিনি তা প্রত্যাহার করেছেন এবং পূর্ব মত রহিত হয়েছে। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস সরাসরি ৬২৮ و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا قَالَتَا إِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يَصُومُ. নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়েশা ও উম্মে সালমা (রা) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্বপ্নদোষ ব্যতীত সহবাসের কারণে জানাবত অবস্থায় ফজর হত, অতঃপর তিনি রোযা রাখতেন। (বুখারী ১৯২৬, ১৯৩০, মুসলিম ১১০৯) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

Read More


Post Date: April 28, 2019 Total: 35 Views

Leave a Reply on sikhenin.Com

HIDE sikhenin - Info Center
Copyright © 2018 All rights reserved.