
‘যদি ছেড়েই যাবে! তবে কেনো এলে জীবনে?’
এরকম কিছু প্রশ্ন দিয়ে পূর্ণ থাকে কারো লাল-নীল ডায়েরির পাতাটাও। অন্তরের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসার উপহার হিসেবে যখন ধোকা মিলে তখন আসলেই জীবনের অর্থটাই যেনো পাল্টে যায়।
.
জীবনে কি পেয়েছি আর কি হারিয়েছি তার হিসাব করতে নিয়ে যখন শূন্যতা ছাড়া জীবনে কিছু না পাই তখন মনে হয়! আমার অস্তিত্ব কি আদৌও আছে এই রঙিন পৃথিবীতে!
জানতে ইচ্ছে করে খুব, ‘আমায় ছেড়ে সে কি খুব ভালো আছে?’
.
শুনেছি! আজকাল সমাজে প্রেম নামে চলে দেহ-ব্যবসা। হাতে গুনা অল্প সংখ্যক মানুষ আছে যারা মন থেকে কাউকে চায়। আর এরাই দিনশেষে অবহেলিত হয়ে যায় তাদের প্রিয়জনদের কাছে। খুব অদ্ভুত ভাবে এরাই সমাজে ‘বোকা মানুষ’ নামে পরিচিত হয়ে যায়।
.
এই সমাজে টিকে থাকতে হলে নাকি হতে হবে আবেগহীন এক যন্ত্র, রোবটও বলা যেতে পারে। হাস্যকর না!! হ্যাঁ, এমনই এক রোবট হতে হবে যার কোনো অনুভূতি থাকবে না, মায়া-মমতা কিচ্ছু থাকতে পারবে না তার মাঝে।
.
‘জীবনটা সহজ নয়’ সহজ এই কথাটি অনেক বেশি কঠিন করে দেয় আমাদের সমাজেরই কিছু মানুষরুপী রোবট। যার ক্ষতি পূরণ দিতে হয় ‘বোকা’ নামে খ্যাত এই মানুষ গুলোকে।
.
সম্পর্ক করার আগে কিছু তরুনের মুখে যেনো মধুর বুলী ফোটে। ‘আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবোনা, তুমিই আমার সব’ ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অনেক কথা বলে থাকে। কিন্তু যখন কথা আসে বিয়ের! তখন শুধুমাত্র পরিবারের দোহায় দিয়ে এক নিমিষেই সম্পর্ক ভেঙে দেয়।
.
‘কখনও ছেড়ে যাবো না’ বলা মানুষটিও একদিন ব্যস্ত হয়ে পরব। যখন প্রিয়জনদের যত্ন নেওয়ার কথা আসে তখন এই আবেগহীন প্রানী গুলো খুব সহজেই বলে ‘উউউঁ! বিরক্ত করো না তো!’
অদ্ভুত নয়, অদ্ভুত নয়। এখন এটাই হয়….
.
সবশেষে একটা কথায় বলবো, নিজের ভালো থাকার কারন নিজেকেই বানাও। অন্য কাউকে বানালে এক সময় তোমাকে নর্দমায় ফেলে দিব্যি সে ভালো থাকবে, কষ্ট পাবে শুধু তুমি নিজেই। কেউ খোঁজ নিবে না, কেউ না। তাই নিজে ভালো থাকো, নিজের মাঝে থাকো।