
এই ছেলে!
প্রেম করতে হলে আগে ভালোবাসতে হবে। উঁহু! আমার শরীরকে নয়, আমার মনকে ভালোবাসতে হবে। প্রেমে পড়তে হলে রমনীর চোখের লেপ্টে যাওয়া কাজলে প্রেম খুঁজতে হয়, বুঝলে! কারণ মুগ্ধতা প্রেমিকার নগ্ন শরীরে নয়, মুগ্ধতা থাকে তো প্রেমিকার এলো চুলে, লেপ্টে যাওয়া কাজলে আর কপালের ওই ছোট্ট টিপে।
.
আমি কিন্তু শুধু তোমার প্রেমিকা হতে চাই না বাপু! আমি তোমার ভালোবাসা হতে চাই। আমি তোমার প্রয়োজন নয়, প্রিয়! বরং প্রিয়জন হতে চাই।
বলছি প্রিয়!
ভালোবাসবে আমায়! বানাবে তোমার প্রিয়জন! কথা দিচ্ছি, একদম জ্বালাবোনা। লক্ষি মেয়ে হয়ে থাকবো।
.
তুমি কি হবে আমার, প্রিয়!
জ্যোৎস্নায় তোমার হাতে হাত রেখে হাটার অনেক ইচ্ছে আমার। বলছি! একটু সময় হবে তোমার! জ্যোৎস্না রাতে জোনাক কুড়াবো তোমায় নিয়ে। কিছু সন্ধ্যা শুধু তোমার নাম করে ফিবো, প্রিয়!
ভালোবাসবে তো আমায়!
.
জানো! সেফিন ভোরবেলা শিউলী কুড়াতে গিয়ে যখন হুট করে সামনে এসেছিলে তুমি! কেমন যেনো হৃদ স্পন্দনটা বহুগুনে বেড়ে গিয়েছিলো। তারপর যখন বললে, এই যে মেয়ে! তোর কাজল চোখে এত মায়া কেনো, হুম!
ঠিক সেই মুহুর্তে আমি প্রেমে পরেছি। উহুঁ! তোমার নয়, তোমার ওই মুগ্ধতায়। আর তাইতো এখন আর কাজল দিতে ভুলিনা আমি।
.
তারপর যেদিন আমার বেনুনী টেনে বলেছিলে, আমাকে বেশি জ্বালালে তোর বেনীতে আগুন লাগিয়ে দিবো বুঝলি!
প্রিয়! সেদিন প্রেমে তোমার খামখেয়ালির, তোমার আহ্লাদীপনার।
.
যেদিন গ্রামের ছুটি কাটিয়ে আবারও সেই আবেগহীন অট্টালিকায় ফিরলে! ঠিক সেই সময় বুঝেছি তুমি আমার শুধু আবেগ নও তুমি আমার প্রেম, তুমিই ভালো লাগা, তুমিই ভালো থাকা…হ্যাঁ প্রিয়! তুমিই আমার ভালোবাসা।
.
সেই থেকে আজও সেই তোমারই অপেক্ষা, তুমি কি ফিরবে প্রিয়! ভালোবাসবে তো আমায়!!!
আজও ভাবি! হঠাৎ করে এমন এক সন্ধ্যা আসুক, যেদিন একশো জোনাকি কে সাক্ষি রেখে তুমি বলবে, ‘ভালোবাসি মেয়ে!, ভালোবাসি তোকে….